Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে আঞ্চলিক মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, বরিশাল

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সেবা ও গবেষণাধর্মী সরকারি প্রতিষ্ঠান। জাতীয় পর্যায়ে কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক মৃত্তিকা জরিপের মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়ে দেশের ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদের বৈশিষ্ট্য, গুণাগুন, সীমাবদ্ধতা, যথাযথ ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বহুমাত্রিক  তথ্য উপাত্ত তৈরির নিমিত্ত ১৯৬১ সালে সয়েল সার্ভে অব পাকিস্তান নামে এ প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯৭২ সালে সয়েল সার্ভে অব বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এ প্রতিষ্ঠান বর্তমান নাম অর্থাৎ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট নামে কার্যক্রম শুরু করে। মাঠ পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সারা দেশে মোট ২২ টি জেলা কার্যালয় রয়েছে। বরিশাল জেলা কার্যালয়টি তার অন্যতম একটি। ১৯৮৫ সালে বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। সমগ্র বৃহত্তর বরিশাল জেলা অর্থাৎ বরিশাল, ঝালকাঠী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলা এ কার্যালয়টির কর্ম এলাকার অন্তর্ভূক্ত। এ কার্যালয়ের অধীন একটি সার পরীক্ষাগার রয়েছে। পরীক্ষাগারটির মাধ্যমে সরকারীভাবে সারের গুণগতমান মান যাচাই কার্যক্রমের আওতায় বরিশাল বিভাগের সকল উপজেলার সার পরীক্ষার সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলা কার্যালয়ের পাশাপাশি স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনায় একটি আঞ্চলিক মৃত্তিকা গবেষণাগার রয়েছে। সারা দেশে এ ধরণের মোট ১৫ টি স্থায়ী মৃত্তিকা গবেষণাগার রয়েছে। বরিশাল বিভাগের জন্য প্রতিষ্ঠিত এ স্থায়ী মৃত্তিকা পরীক্ষাগারটির মাধ্যমে এতদঞ্চলের কৃষক ও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রেরিত ফসলী জমির মাটি পরীক্ষার সেবা দেয়া হয়। স্থায়ী মৃত্তিকা পরীক্ষাগারটির সেবার আওতা ক্রমঃ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এতদঞ্চলের অধিক সংখ্যক কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করে ফসলের জমিতে সুষম সার প্রয়োগে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সারা দেশে এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির মোট ১০ টি ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগার রয়েছে। বরিশাল বিভাগের জন্য নির্ধারিত ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারটির নাম ‘কীর্তনখোলা’। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রতি বছর রবি ও খরিফ মৌসুমে বরিশাল বিভাগের মোট ৮ টি উপজেলায়  ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগার অবস্থান করে তৃনমূল পর্যায়ের কৃষকদের মৃত্তিকা পরীক্ষার সেবা দেওয়া হয়।